ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোরকে নতুন করে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশের করা আবেদন নাকচ করে দিয়েছেন আদালত।
রবিবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার মহানগর হাকিম মো. জসিম এ আবেদন নাকচ করে দেন। এদিন কিশোরকে আদালতে হাজির করার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত তাকে আনা হয়নি।
এদিন সকালে এ মামলার নথিপত্র পর্যালোচনার জন্য তলব করেন ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম জুলফিকার হায়াত। সকাল সাড়ে ৯টায় নথিপত্র নিয়ে আদালতের রমনা থানার নিবন্ধন শাখার সদস্য মো. সোলাইমার সিএমএম দফতরে প্রবেশ করেন।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় প্রায় ৯ মাস ধরে কারাগারে আছেন কার্টুনিস্ট কিশোর। তার সঙ্গে কারাবন্দি লেখক মুশতাক আহমেদ গেল বৃহস্পতিবার রাতে মারা গেছেন। এ দুজনই আদলতে ৬ বার আবেদন করেও জামিন পাননি।
গেল বছরের মে মাসে কিশোর-মুশতাকসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে রমনা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন (র্যাব)।
মামলায় অন্য ৯ আসামি হলেন- রাজনৈতিক সংগঠন রাষ্ট্রচিন্তার সদস্য দিদারুল ইসলাম ভূঁইয়া, নেত্র নিউজের এডিটর-ইন-চিফ তাসনিম খলিল, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সাবেক পরিচালক মিনহাজ মান্নান, যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী সাংবাদিক শাহেদ আলম, জার্মানি প্রবাসী ব্লগার আসিফ মহিউদ্দিন, হাঙ্গেরি প্রবাসী জুলকারনাইন সায়ের খান (সামি), আশিক ইমরান, স্বপন ওয়াহিদ ও ফিলিপ শুমাখার।
এ মামলায় গত ৪ ফেব্রুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র দেয় রমনা থানা পুলিশ। তবে সেখানে সুইডেন প্রবাসী সাংবাদিক তাসনিম খলিল ও আল জাজিরায় সাক্ষাৎকার দিয়ে বিতর্কিত জুলকারনাইন সায়ের খানসহ (সামি) ৮ আসামির নাম না থাকায় আদালত অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দেন।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপির) কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটকে এ তদন্ত করে ২৩ ফেব্রুয়ারি প্রতিবেদন দিতে বলেছিলেন বাংলাদেশ সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আসসামছ জগলুল হোসেন। ওইদিন নতুন তদন্ত কর্মকর্তা সিটিটিসির উপপরিদর্শক মো. আবসার আদালতে প্রতিবেদন দাখিলে সময় আবেদন করেন।
এর দুদিন পরই গত ২৫ ফেব্রুয়ারি কিশোর ও মুশতাককে নতুন করে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের আবেদন করেন সিটিটিসির উপপরিদর্শক মো. আবসার। আদালত এ আবেদনের ওপর শুনানির জন্য ২৮ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেন।
তবে ২৫ ফেব্রুয়ারি রাতে মুশতাক আহমেদ মারা যাওয়ায় রবিবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) কেবল কিশোরের রিমান্ডের বিষয়ে শুনানি হলে আদালত তা পুলিশের আবেদন নাকচ করে দেন।
এ মামলায় কারাগারে যাওয়া আরেক আসামি দিদারুল ইসলাম ভূঁইয়া জামিন পেতে ৩ বার আবেদন করের বিচারিক আদালত। এরপর হাইকোর্টে আবেদন করে তিনি জামিনে মুক্তি পান। এছাড়া আরেক আসামি ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সাবেক পরিচালক মিনহাজ মান্নান ইমন গ্রেফতারের ৪ মাস পর বিচারিক আদালত থেকে জামিন পান। বাকি আসামিরা সবাই দেশে বাইরে আছেন।
ব্রেকিংনিউজ/এমআর