অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দীর বিরুদ্ধে অর্থপাচার ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ।
দুদকের এক পরিচালকের নেতৃত্বে দুই সদস্যের ওই টিমে আরও একজন উপপরিচালক রয়েছেন। তারা বিভিন্ন দফতরে সাবেক এই সেনা কর্মকর্তার সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করবেন বলে জানা গেছে।
এর আগে, গত ১৯ জুলাই আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দীকে সব সেনানিবাস এলাকায় অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়েছে।
আলোচিত অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অর্থপাচারের অভিযোগের পাশাপাশি স্ত্রী ও সন্তানের নামে বিদেশে বাড়ি-গাড়ি ফ্ল্যাট করারও অভিযোগ মিলেছে। খতিয়ে দেখতে কাজ শুরু করেছে দুদক। সম্প্রতি দুদকে একটি অভিযোগপত্রে হাসান সারওয়ার্দীর অবৈধ সম্পদ রয়েছে বলে অভিযোগ আসে। নিয়ম অনুযায়ী তা কমিশনে দাখিল করা হলে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় কমিশন। অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে বিভিন্ন সংস্থায় চিঠি দিয়ে তথ্য চাইবে দুদকের তদন্ত দল।
এর আগে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে ‘অস্বস্তিকর ও বিব্রতকর’ বক্তব্যের কারণে সেনা কর্তৃপক্ষ ‘অবাঞ্ছিত ব্যক্তি’ ঘোষণা করে অবসরপ্রাপ্ত লে. জেনারেল চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দীকে। এবার তার বিরুদ্ধে শুরু হলো দুদকের অর্থপাচারের অভিযোগের অনুসন্ধান।
ব্রেকিংনিউজ/নিহে