ট্রাম্প অধ্যায় শেষ, শুরু হয়েছে বাইডেন যুগ। তবুও আলোচনায় মার্কিন ইতিহাসের সবচেয়ে পাগলাটে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। হোয়াইট হাউসে আসার পর থেকেই একের পর এক বিতর্ক সৃষ্টি করেছেন। এমনকি শেষ দিনগুলোয়ও ভয়াবহ সব পরিকল্পনা করেছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। হোয়াইট হাউসের শেষ সময়ে ট্রাম্প বিচার বিভাগের এক কর্মকর্তার সঙ্গে সংবিধানবিরোধী কার্যক্রম নিয়ে পরামর্শ করেছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
যাবতীয় ঘটনার শেষে আমেরিকার ইতিহাসে সবচেয়ে মিথ্যেবাদী প্রেসিডেন্টের তকমা বসে গেল তার নামের পাশে।
আমেরিকার জনপ্রিয় সংবাদ মাধ্যম ‘ওয়াশিংটন পোস্ট’ এর একটি পরিসংখ্যান জানায়, ২০১৭ সালের ২০ জানুয়ারি থেকে ২০২১ সালের ২০ জানুয়ারি সকালে হোয়াইট হাউস ছেড়ে যাওয়া পর্যন্ত তিনি প্রকাশ্যে ৩০ হাজার ৫৭৩ বার মিথ্যে দাবি করেছেন।
তারা জানিয়েছে, নির্বাচনী প্রচারেও বিভিন্ন অযৌক্তিক দাবি করতে দেখা যায় ট্রাম্পকে। তাই তিনি প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার পর থেকে প্রথম ১০০ দিন তার প্রতিটি মন্তব্যের রেকর্ড রাখতে শুরু করে তারা। পরে পাঠকদের আর্জি মেনে নিয়মিত রেকর্ড রাখা শুরু হয়।
সত্যতা যাচাই করে ট্রাম্পের মন্তব্যের মধ্যে থেকে সঠিক এবং ভুয়া তথ্য আলাদা করার জন্য বিশেষ ‘ফ্যাক্ট চেক টিম ‘ ও তৈরি করা হয়। গত বুধবার হোয়াইট হাউস থেকে ট্রাম্প বিদায় নেওয়ার পর সেই হিসেব মেলানো শুরু হেয়। তাতেই ট্রাম্পের যাবতীয় ভুয়া দাবির যোগফল ৩০ হাজার ৫৭৩ এ গিয়ে ঠেকে।
এদিকে, নিউইয়ার্ক টাইমস এক প্রতিবেদনে বলেছে, ট্রাম্প বিচার বিভাগের এক কর্মকর্তার সঙ্গে সংবিধান বিরোধী কার্যক্রম নিয়ে পরামর্শ করেছিলেন। ভারপ্রাপ্ত অ্যাটর্নি জেনারেলকে বরখাস্ত করে বিচার বিভাগের মাধ্যমে জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যের ভোটের ফলাফল পাল্টে দেওয়ার ষড়যন্ত্র করছিলেন ট্রাম্প।
বর্তমানে ট্রাম্প ফ্লোরিডার পাম বিচে রয়েছেন। তার বিরুদ্ধে কংগ্রেসে দ্বিতীয় দফা গৃহীত অভিশংসন বিচারের প্রস্তুতি চলছে।
ব্রেকিংনিউজ/এমএইচ