হাফেজ মিজানুর রহমান সিদ্দিকীর ষড়যন্ত্র থেকে বাঁচতে চায় নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের এক অসহায় গৃহবধূ।
হাফেজ মিজানুরের বিরুদ্ধে ওই গৃহবধূকে শারীরিক সম্পর্কসহ বিভিন্নভাবে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। মোবাইলে গোপনে অডিও কল রেকর্ড করে ব্লাকমেইলের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। এমনকি ওই অডিও কল রেকর্ড সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছেড়ে দেয়ারও হুমকি দিচ্ছেন।
মিজানুর রহমান নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের ভাটিবন্দর মিফতাহুল উলুম মাদরাসায় কর্মরত ছিলেন। নানা অনৈতিক কর্মকাণ্ডের অভিযোগের কারণে তাকে মাদরাসা থেকে বহিষ্কার করা হয়। অভিযুক্ত মিজানুর রহমান ছিদ্দিকী কিশোরগঞ্জ জেলার কুলিয়ারচর উপজেলার দরিবাগ গ্রামের বাসিন্দা। তার পিতার নাম মো. নুরুল ইসলাম ও মাতা লতিফা বেগম।
নির্যাতিতা গৃহবধূ অভিযোগ করে জানান, স্বামী মারা যাওয়ার পরে মিজানুর রহমান সিদ্দিকীর সঙ্গে পরিচয় হয়। তিনি সোনারগাঁয়ের ভাটিবন্দর মিফতাহুল উলুম মাদ্রাসায় নুরানী বিভাগে শিক্ষকতা করতেন। আর আমি তার মাদরাসায় আমার ছেলেকে ভর্তি করাই। এর সূত্র ধরে ওই হুজুর প্রায়ই ফোন দিয়ে বিভিন্ন রকম আপত্তিকর প্রস্তাব দিতেন। এমনকি আপত্তিকর ছবিও আমার মোবাইলে পাঠান। এর প্রতিবাদ করলে হুজুর আমাকে বিভিন্ন রকম ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন।
ওই গৃহবধূ আরো জানান, মিজানুর রহমান সিদ্দিকী প্রায়ই ফোন দিয়ে আমাকে টাকা দিতে বাধ্য করতেন। তা না হলে অনৈতিক কাজ করতে বলেন। নিজের মান সম্মানের কথা চিন্তা করে কয়েক দফায় মিজানুর রহমান সিদ্দিকীকে লাখ টাকা দেই। কিন্তু এতেও মিজানুর রহমান সিদ্দিকী ক্ষান্ত হয়নি। এমতাবস্থায় আমি খুব আতঙ্কে সময় পার করছি। যেকোনো সময় ওই ভণ্ড হুজুর আমার বড় কোনো ক্ষতি করতে পারে। আমি তার হাত থেকে রেহাই চাই। এজন্য প্রধানমন্ত্রীসহ যথাযথ কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
জানা গেছে, মিজানুর রহমান সিদ্দিকী একাধিক নারীর সাথে সম্পর্ক গড়ে তুলে তাদের সাথে প্রতারণার আশ্রয় নিয়েছেন। নারী কর্মকাণ্ডে জড়ানোর অভিযোগে ভাটিবন্দর মিফতাহুল উলুম মাদরাসা থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। চাকরি হারিয়ে বাড়ি গিয়ে এখনও ওই গৃহবধূকে মোবাইল ফোনে বিরক্ত করে যাচ্ছেন মাদরাসা শিক্ষক মিজানুর।
এ অবস্থায় সন্তান নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন ভুক্তভোগি ওই গৃহবধূ। তিনি ও তার পরিবার মিজানুর রহমান সিদ্দিকীকে গ্রেফতারসহ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
অভিযোগের বিষয়ে মিজানুর রহমান সিদ্দিকীর সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তার সাথে কোনো যোগাযোগ করা যায়নি।
ব্রেকিংনিউজ/নিহে/এমজি