বাংলাদেশের শিল্পকলা অঙ্গনের অন্যতম নক্ষত্র কাইয়ুম চৌধুরীর জন্মবার্ষিকী আজ। ১৯৩২ সালের আজকের দিনে তিনি ফেনীতে জন্ম নেন। তার বাবার নাম আবদুল কুদ্দুস চৌধুরী। তিনি ছিলেন সমবায় বিভাগের পরিদর্শক।
প্রখ্যাত চিত্রশিল্পী, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, শিক্ষাবিদ, সাংবাদিক ও অধ্যাপক কাইয়ুম চৌধুরী বাংলাদেশের চিত্রশিল্প প্রসারে পঞ্চাশ দশক থেকে শুরু করে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত পথিকৃতের ভূমিকা পালন করেছেন এবং দেশের সংবাদপত্র ও বই প্রকাশনার শৈল্পিক উৎকর্ষে ভূমিকা পালন করেছেন। বই প্রচ্ছদ ও অঙ্গসজ্জায় এনেছেন আধুনিকতা এবং নতুনধারার সৃষ্টিশীলতা।
কাইয়ুম চৌধুরী ময়মনসিংহ সিটি কলেজিয়েট স্কুলে থেকে ১৯৪৯ সালে এসএসসি ও ঢাকা আর্ট কলেজে ১৯৫৪ সালে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি ১৯৫৭ সালে ঢাকা আর্ট কলেজে শিক্ষকতা শুরু করেন এবং ঢাকা আর্ট কলেজে শিল্পী কামরুল হাসানের অধীনে ডিজাইন সেন্টার স্থাপন করেন।
তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউট থেকে ১৯৯৪ সালে পর্যন্ত অধ্যাপনা করেন এবং ২০০২ সালে অবসরে যান। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় বিভিন্ন শিল্পীদের নিয়ে গঠনকরা ‘চারুকলা শিল্পী সংগ্রাম পরিষদ’ এর আহ্বায়ক ছিলেন তিনি।
শিল্প, সংস্কৃতিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের জন্য সরকার শিল্পী কাইয়ুম চৌধুরীকে একুশে পদক (১৯৮৪) ও স্বাধীনতা পদক (২০১৪) প্রদান করে। এ ছাড়াও বঙ্গবন্ধু পুরস্কার (১৯৭৪), বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি পুরস্কার (১৯৭৭), সুলতান পদকসহ অসংখ্য পুরস্কারে ভূষিত হন।
গুণী এই শিল্পী ২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর বনানীর আর্মি স্টেডিয়ামে, তৃতীয় উচ্চাঙ্গসংগীত উৎসবে অতিথি হয়েছিলেন এবং সেই উৎসবে বক্তব্য দেওয়ার সময় হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মঞ্চের ওপর মারা যান।
ব্রেকিংনিউজ/নিহে